ভেদরগঞ্জ উপজেলার জনপদের বর্তমান বয়স প্রায় ৩০০ বছর। ১৯২৪ সনে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বিক্রমপুর পরগণার জমিদার সৈয়দ ভেদারউদ্দিন শাহ সর্বপ্রথম ভেদরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে কালের প্রভাবে ও প্রশাসনিক চাহিদার আলোকে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সনে ভেদরগঞ্জ থানা হতে উপজেলায় উন্নীত হয়। এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ ভেদরগঞ্জ উপজেলা উদ্বোধন করেন।
ভৌগলিক বিবেচনায় ২৩.২৪ ডিগ্রি হতে ২৩.৩৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯০.২৩ ডিগ্রি ৯০.৩৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিস্তৃত।
শরীয়তপুর জেলা শহরের পূর্বদিকে, পদ্মা নদীর দক্ষিণে এবং মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। এ উপজেলার দক্ষিনে ডামুড্যা, পশ্চিমে শরীয়তপুর সদর, উত্তরে নড়িয়া উপজেলা, উত্তর পুর্ব দিকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নদী পদ্মা এবং পুর্বে মেঘনা নদী।
এ উপজেলার নামকরণ নিয়ে আরও একাধিক প্রবাদ প্রচলিত আছে। এর একটি কাদা প্রবাদ নামে প্রচলিত। ভেদা শব্দের অর্থ কাদা। এক সময় এই এলাকায় প্রচুর কাদা ছিল, কাদার জন্য মানুষের চলাচল ছিল দুষ্কর। লোকজনকে বহু কষ্টে কাদা (ভেদার) মাড়িয়ে গঞ্জে বা শহরে আসতে হতো। তাই এলাকাটি ভেদরগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। অনেকের মতে এখানে প্রচুর বেদে ছিল। নদীর পাড়ে সবসময় অসংখ্য বেদে বহর থাকত। তাই এলাকাটির নাম ভেদরগঞ্জ হয়েছে। কিন্তু এগুলো নিছক প্রবাদ বলেই সকলের কাছে প্রতীয়মান। মুলত ভেদারউদ্দিন শাহের নামানুসারে ভেদরগঞ্জ নামের উৎপত্তি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস